নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত কি ?

1
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত কি ?

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই আজ আমরা অধ্যায়ন করবো ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে যে বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই উপকারী। এই বিষয়টি ছাত্রছাত্রীরা অধ্যায়ন করলে পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো নম্বর অর্যন করতে পারবে তাই তাদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত কি এই বিষয়টি নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Advertisement

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত কি ?

সংজ্ঞাঃ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে কোনো স্থানে আকস্মিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে নিম্নচাপ সৃষ্টির ফলে মেরু অঞ্চল থেকে শুষ্ক ও শীতল বায়ু এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে উষ্ণ আর্দ্র বায়ু ছুটে আসে । এই বায়ু নিম্নচাপ কেন্দ্র বরাবর প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে উষ্ণ ও ঘূর্ণায়মান হয়ে উর্দ্ধগামী হয়ে যে ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়, তাকে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত (Temperate Cyclone) বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত (Midlatitude Cyclone) বলে । ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশিষ্ট আবহবিদ ফিৎজরয় (Fitzroy) সর্বপ্রথম এইপ্রকার ঘূর্ণবাত সম্পর্কে আলোকপাত করেন ।

প্রভাবিত অঞ্চলঃ

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত উত্তর গোলার্ধে ও দক্ষিণ গোলার্ধে ৩০°-৬৫° অক্ষাংশের মধ্যে সংঘটিত হয় । উত্তর গোলার্ধে সবথেকে বেশী নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতপ্রবণ মহাদেশ হল উত্তর আমেরিকা । এই মহাদেশের সবথেকে উল্লেখযোগ্য তিনটি প্রভাবিত অঞ্চল হল

  • পশ্চিম কানাডার দক্ষিণ-পূর্ব মিসিসিপি ভ্যালি ও বৃহৎ হ্রদ অঞ্চল,
  • কানাডা ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অঞ্চল
  • কানাডার দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর-পূর্ব নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল ।

বৈশিষ্ট্যঃ 

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. আকৃতিঃ নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের আকৃতি বৈচিত্রময় । আকৃতিগত দিক দিয়ে এদের একটির সাথে অন্যটির সামঞ্জস্য খুবই কম । কোনওটির ক্ষেত্রে তা সংকীর্ণ আকার ধারণ করে, আবার কোনওটির ক্ষেত্রে তা খুবই প্রশস্ত হয় । এদের ব্যাস মূলত ১৬০ কিমি-৩২০ কিমি হয় । কিন্তু বিশেষ শক্তিশালী নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ক্ষেত্রে তা ১৫০০ কিমি অবধি হতে পারে । উল্লম্বভাবে এর উচ্চতা ১০-১২ কিমি পর্যন্ত হতে পারে ।
  2. গতিপথঃ সাধারণভাবে এর গতিপথ পশ্চিম থেকে পূর্বে; কেননা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে প্রবাহিত পশ্চিমা বায়ু দ্বারা এর গতিপথ দ্বারা নির্ধারিত হয় । কিন্তু এই গতিপথের ব্যতিক্রমও ঘটে এবং বিশেষভাবে তা ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে থাকে । একটি শক্তিশালী নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত প্রতিদিন ১০০০ কিমিরও বেশী পথ পাড়ি দিতে পারে । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে সৃষ্ট মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাতগুলি প্রবল বেগে আলাস্কা উপকূলের দিকে ধাবিত হয় ।
  3. গতিবেগঃ নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ঘূর্ণায়মান বায়ুর গতিবেগ মূলতঃ ৩০ – ৫০ কিলোমিটার / ঘন্টার মধ্যে থাকে । তবে বিশেষ শক্তিশালী নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ক্ষেত্রে তা ১০০ কিলোমিটার / ঘন্টা বা তারও বেশী হতে পারে ।
  4. মধ্যম মাত্রার নিম্নচাপঃ নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে ৯৩০ মিলিবার-১০০০ মিলিবারের মত মধ্যম মাত্রার নিম্নচাপ অবস্থান করে । কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০ মিলিবারের মত চাপের পার্থক্য সৃষ্টি হয় । অবশ্য শক্তিশালী নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের ক্ষেত্রে বায়ুচাপের এই পার্থক্য ৩৫ মিলিবার অবধিও হতে পারে ।
  5. তরঙ্গ ঘূর্ণাবর্তঃ এইপ্রকার ঘূর্ণবাতে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একটার পর একটা ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয় এবং মিলিয়ে যায়, তাই একে অনেকসময় তরঙ্গ ঘূর্ণবাতও বলা হয়ে থাকে।
  6. উৎপত্তিস্থলঃ এটি মূলত স্থলভাগে সৃষ্টি হলেও বিষয়ান্তরে অনেকসময় সমুদ্রের উপরেও সৃষ্টি হতে পারে ।
  7. সমচাপরেখাঃ নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে সমচাপরেখাগুলি মূলত ইংরাজী ‘V’ – আকৃতির ও অসমানুবর্তী হয়ে থাকে ।
  8. মেঘ ও বৃষ্টিপাতঃ এইপ্রকার ঘূর্ণবাতে নিম্বোস্ট্রাটাস ও অল্টোস্ট্রাটাস মেঘ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে একটানা হালকা বৃষ্টিপাত হতে থাকে ।
  9. ধ্বংসক্ষমতাঃ নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও স্বাভাবিকভাবেই এর ক্ষয়ক্ষতি করার ক্ষমতাও কম হয় ।

গঠনঃ 

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত – এর গঠন সম্পর্কে সর্বপ্রথম আলোকপাত করেন নরওয়ের আবহবিদ বার্কনেস (Berknes) । তিনি বলেন, দুটি ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত বায়ুপুঞ্জ দ্বারা এইপ্রকার ঘূর্ণবাত গঠিত হয় । এই ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জদুটি হলো

  • মহাদেশীয় শীতল, ভারী ও শুষ্ক মেরুবায়ুপুঞ্জ (cP)
  • ক্রান্তীয় হালকা, উষ্ণ ও আর্দ্র উপক্রান্তীয় পশ্চিমাবায়ুপুঞ্জ (mT) ।

উপরিউক্ত এই দুইপ্রকার বায়ুপুঞ্জের মিলনে সীমান্ত (Front) সৃষ্টি হয় । সীমান্ত হলো একটি ঢালু সীমানা, যা এই দুইপ্রকার বায়ুপুঞ্জকে পৃথক করে । অন্যভাবে বলা যায়, দুটি ভিন্ন প্রকৃতির বায়ুপুঞ্জের উষ্ণতাগত পার্থক্য, চাপগত পার্থক্য, আর্দ্রতাগত পার্থক্য, প্রবাহদিকগত পার্থক্য প্রভৃতির ফলে যে বিভেদতল তৈরী হয়, তাকে সীমান্ত (Front) বলে । নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে মেরুবায়ুপুঞ্জ (cP) ও উপক্রান্তীয় পশ্চিমাবায়ুপুঞ্জ (mT) পরস্পরের সমান্তরাল ও বিপরীতে মুখোমুখি হয়ে এক অদৃশ্য বায়ুপ্রাচীর বা সীমান্তের সৃষ্টি করে, যার বিস্তার ১০০-২০০ কিমি অবধিও হতে পারে । নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের এই সীমান্ত বেশ কয়েকপ্রকার হতে পারে । যথা

  1. সাম্য সীমান্ত (Stationary Front): নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে ভিন্নধর্মী দুটি বায়ুপুঞ্জ একে অপরের উল্লম্ব স্থানচ্যুতি না ঘটিয়ে একটি সীমানাতল বরাবর পরস্পরের বিপরীত দিকে সমান্তরালে প্রবাহিত হলে, তাকে সাম্য সীমান্ত (Stationary Front) বলে ।
  2. উষ্ণ সীমান্ত (Warm Front): নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে উষ্ণ বায়ু উত্তলাকৃতি বাঁক নিয়ে শীতল বায়ুর উর্দ্ধে উঠে যে সীমানাতল বরাবর শীতল বায়ুকে স্থানচ্যুত করে, তাকে উষ্ণ সীমান্ত (Warm Front) বলে ।
  3. শীতল সীমান্ত (Cold Front): নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে শীতল বায়ু দ্রুত গতিতে অবতলাকৃতি বাঁক নিয়ে উষ্ণ বায়ুর পিছনে ধাক্কা দিয়ে যে সীমানাতল বরাবর উষ্ণ বায়ুকে স্থানচ্যুত করে, তাকে শীতল সীমান্ত (Cold Front) বলে ।
  4. অবরুদ্ধ সীমান্ত (Occluded Front): নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে উষ্ণ সীমান্তের তুলনায় শীতল সীমান্তের গতি বেশী হওয়ায় শীতল সীমান্ত উষ্ণ সীমান্তের উপরে উঠে পড়ে ও ঘিরে ফেলে । এর ফলে মধ্যবর্তী উষ্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠ থেকে উঠে পড়ে একপ্রকার নতুন সীমান্ত সৃষ্টি হলে, তাকে অবরুদ্ধ সীমান্ত (Occluded Front) বলে।

উৎপত্তিঃ 

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত – এর উৎপত্তি সম্পর্কে আবহবিদ রবার্ট ফিৎজরয় (Robert Fitzroy,1863) সর্বপ্রথম আলোকপাত করলেও এই বিষয়ে স্পষ্ট আলোকপাত করেন নরওয়ের আবহবিদগন ভি. বার্কনেস, জে বার্কনেস এবং সোলবার্গ । নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সম্পর্কে তাদের এই মিলিত তত্ত্ব মেরু সীমান্ত মতবাদ (Polar Front Theory) নামে পরিচিত । তত্ত্বটি অবশ্য বার্জেন তত্ত্ব (Bargen Theory), তরঙ্গ তত্ত্ব (Wave Theory) এবং বায়ুপ্রাচীর তত্ত্ব (Frontal Theory) নামেও পরিচিত । নিম্নে মেরু সীমান্ত মতবাদ (Polar Front Theory) অনুসারে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করা হলো –
মেরু সীমান্ত মতবাদ অনুযায়ী মেরু বায়ুপুঞ্জ ও ক্রান্তীয় বা উপক্রান্তীয় বায়ুপুঞ্জের তরঙ্গ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এই ঘূর্ণবাতের উদ্ভব হয় । এই ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ৬ টি পর্যায়ে বিভক্ত । যথা

  1. প্রারম্ভিক পর্যায়ঃ এটি হলো নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের উৎপত্তির প্রথম পর্যায় । এই পর্যায়ে মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল, ভারী ও শুষ্ক মেরু বায়ুপুঞ্জ (cP) এবং ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উষ্ণ, হালকা ও আর্দ্র উপক্রান্তীয় বায়ুপুঞ্জ (mT) নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে উপস্থিত হয়ে মেরু বায়ুপুঞ্জ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ও উপক্রান্তীয় বায়ুপুঞ্জ পশ্চিম থেকে পূর্বে অর্থাৎ পরস্পরের বিপরীতমুখী হয়ে প্রবাহিত হতে থাকে । ক্রমশঃ এই দুইপ্রকার বায়ুপুঞ্জ পরস্পরের কাছাকাছি চলে এলে এদের মধ্যে একটি সমান্তরাল বায়ুপ্রাচীর বা সীমান্ত সৃষ্টি হয় । এইপ্রকার সীমান্ত সাম্য সীমান্ত নামে পরিচিত । এই পর্যায়ে সীমান্তে কোনোপ্রকার আলোড়ন সৃষ্টি হয় না ।
  2. জন্মলাভ পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে শীতল বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ সীমান্তের তুলনায় অধিক ভারী ও অধিক গতিশীল হওয়ায় তরঙ্গের আকারে উষ্ণ বায়ুপুঞ্জের মধ্যে ঢুকে পড়ে সাম্য সীমান্তের বিনাশ ঘটায় । উষ্ণ বায়ু উত্তলাকৃতি বাঁক নিয়ে শীতল বায়ুর উর্দ্ধে উঠে সীমানাপৃষ্ঠ বরাবর শীতল বায়ুকে স্থানচ্যুত করে উষ্ণ সীমান্তের সৃষ্টি করে এবং শীতল বায়ু দ্রুত গতিতে অবতলাকৃতি বাঁক নিয়ে উষ্ণ বায়ুর পিছনে ধাক্কা দিয়ে সীমানা বরাবর শীতল বায়ুকে প্রতিস্থাপিত করে শীতল সীমান্ত সৃষ্টি করে ।
  3. প্রাথমিক পূর্ণতাপ্রাপ্তিলাভ পর্যায়ঃ প্রারম্ভিক পর্যায়ের মোটামুটি ৩০ – ৬০ ঘন্টার মধ্যে এই পর্যায় সৃষ্টি হয়ে থাকে । এই পর্যায়ে শীতল বায়ু উষ্ণ বায়ুর দিকে অগ্রসর হলে বায়ু সীমান্তের ভাঁজ বৃদ্ধি পেয়ে সীমান্তদ্বয় প্রায় কাছাকাছি এসে পড়ে ।
  4. সম্পূর্ণ পূর্ণতাপ্রাপ্তিলাভ পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে ঘূর্ণবাতের পরিনতিপ্রাপ্তি ঘটে । বায়ুপুঞ্জ সবচেয়ে প্রবল ও তীব্রতম আকার ধারণ করে এবং উষ্ণ ও শীতল সীমান্ত স্পষ্টভাবে বিভক্ত থাকে । উষ্ণ বায়ু উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই বৃষ্টিপাত উষ্ণ সীমান্তের এলাকাজুড়ে ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে ।
  5. অন্তর্ধৃতি পর্যায় বা Occluded পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে শীতল সীমান্ত অচিরেই উষ্ণ সীমান্তকে ধরে ফেলে এবং উভয়ে মিলিতভাবে একটি সীমান্তের সৃষ্টি করে, অন্তর্ধৃতি সীমান্ত নামে পরিচিত । এই সীমান্তে উষ্ণ ও শীতল সীমান্তের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকে না । ক্রমশঃ অন্তর্ধৃতি তরঙ্গ শীর্ষদেশ থেকে নীচের দিকে অগ্রসর হতে থাকে । উষ্ণ বায়ুটি ধীরে ধীরে ভূপৃষ্ঠের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপরে উঠে পড়ে এবং ক্রমশঃ সমগ্র অঞ্চলটি শীতল বায়ুপুঞ্জ দখল করে নেয় ।
  6. অন্তিম পর্যায়ঃ এটি ঘূর্ণবাতের অন্তিম পর্যায় । এই পর্যায়ে উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ ও অন্তর্ধৃতি সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয় । কেবলমাত্র কতকগুলি মৃদু শীতল বায়ুস্রোত প্রবাহিত হতে থাকে এবং ক্রমশঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপশক্তি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলিও ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গিয়ে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের জীবনচক্রের পরিসমাপ্তি ঘটে ।

উপরোক্ত অংশ থেকে কোনো বিস্ময় থাকলে অবশ্যই নিচে মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের বিষয়টি আপনার কোনো সাহায্যপ্রাপ্ত হলে আপনার বন্ধুদের কাছেও প্রশ্নের বিষয়টি শেয়ার করুন। বিষয়টি পরে অধ্যায়ন করার জন্য বা নিজের কাছে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য সরাসরি পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন ধন্যবাদ। 

1 COMMENT

Comments are closed.